রবীন্দ্রনাথের একটি প্রিয় গান "মরি লো মরি, আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে" এটি তাঁর ২২ বছরের রচনা "প্রকৃতির প্রতিশোধ" নাট্যকাব্যের অন্তর্ভুক্ত কলকাতা থেকে সাতারায় ইন্দিরা দেবীকে কবি একটি চিঠিতে লিখেছেন "কাল রাত্রে জ্যোতিদাদাদের ওখানে অভি একটা এসরাজ নিয়ে বসল বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে এবং বাতাসে গাছের পাতার শব্দ হচ্ছে আমি প্রথমে "ভরা বাদর" গাইলুম তার পরে গাইলুম "আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে"" মরি লো মরি, আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে মরি লো মরি, আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে ভেবেছিলেন ঘরে রব, কোথাও যাব না ভেবেছিলেন ঘরে রব, কোথাও যাব না ওই যে বাহিরে বাজিল বাঁশি, বলো কী করি ওই যে বাহিরে বাজিল বাঁশি, বলো কী করি আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে মরি লো মরি, আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে শুনেছি কোন কুঞ্জবনে যমুনাতীরে সাঁঝের বেলায় বাজে বাঁশি ধীর সমীরে শুনেছি কোন কুঞ্জবনে যমুনাতীরে সাঁঝের বেলায় বাজে বাঁশি ধীর সমীরে ওগো, তোরা জানিস যদি ওগো, তোরা জানিস যদি আমায় পথ বলে দে আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে মরি লো মরি, আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে দেখি গে তার মুখের হাসি তারে ফুলের মালা পরিয়ে আসি দেখি গে তার মুখের হাসি তারে ফুলের মালা পরিয়ে আসি তারে বলে আসি, "তোমার বাঁশি" তারে বলে আসি, "তোমার বাঁশি আমার প্রাণে বেজেছে" আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে মরি লো মরি, আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে