আয় বললেই বিড়াল পায়ে পায়ে হেট মুণ্ডি থালার দিকে যাওয়া আয় বললেই নীরব হরণ ঘুমের আগে শোয়া আয় বললেই গলা বাড়াই সোনার হারটি পাওয়া আয় বললেই বিড়াল পায়ে পায়ে ছাতার নিচে ভাতের থালায় জীবন খুঁজে পাওয়া এই তো জীবন বাঃ রে জীবন সকাল সন্ধে বেলা এই প্রেয়সি এই জননী এই ভগিনীর খেলা নানান রুপের ঝিলিক দেওয়া মুখ মুখোশের মেলা তারই মধ্যে সতি নামের দাহ্য খুঁজে পাওয়া আয় বললেই বিড়াল পায়ে পায়ে হেট মুণ্ডি এক বিছানায় যাওয়া হায় রে জীবন এক চোখও তুই এ দিক দেখিস না সাত খুন্মা পুরুষ বলে খুঁটিয়ে দেখিস না মরল যাদের সকাল দুপুর মরল যাদের এক ঘেয়ে রাত তাদের বুঝিস না হায় রে জীবন এক চোখও তুই আমায় দেখিস না আমায় নিয়ে কাব্য, গল্প, নাট্য, নৃত্য কত আমার জন্য দেশ বিদেশের তারিফ হাতে পাওয়া হায় রে তবু আমার জোটে আয় বললেই যাওয়া বিড়াল পায়ে পায়ে আয় বললেই গায়ে হলুদ ফুলশয্যায় শোয়া আয় বললেই খুন্তি হাতা স্তন্য দুগ্ধ মায়া আয় বললেই মা জননী সংসারের ছায়া প্রাণ জুরোবে বিরাম নেবে অহংকারী মন আমার জন্য থাকবে না তো অন্য আয়োজন বাঃ রে জীবন বাঃ ভেবে দেখলি না নারী সে কি নারী কেবল মানুষ ওকি না ডাকলি কেবল নানান নামে নামটা দিলি না তাই কখনো আয় বললে বাবার ছায়ায় মেয়ে তাই কখনো আয় বললে অতি পরম গুরু তাই কখনো আয় বললে আমি সে জননী আমার কাছে চাওয়া ধন্য জীবন আয় বললেই বিড়াল পায়ে পায়ে হেট মুণ্ডি থালার দিকে যাওয়া