এইসব গানের সঙ্গীত ভিত্তির সমন্ধে রবীন্দ্রনাথের নিজের কথা এই বর্তমান আনাড়ি লোকটার অপথযাত্রার ভ্রমণবৃত্তান্ত দুই একটা কথায় বলিয়া লই কেননা, গান সমন্ধে আমি যেটুকু সঞ্চয় করিয়াছি তা ওই অঞ্চল হইতেই সাহিত্যে লক্ষ্মীছাড়ার দলে ভিড়িয়াছি খুব অল্প বয়সেই সংগীতেও আমার ব্যবহারে শিষ্টতা ছিল না তবু যত দৌরাত্ম্যই করি-না কেন রাগরাগিণীর এলাকা একেবারে পার হইতে পারি নাই দেখিলাম তাদের খাঁচাটা এড়ানো চলে কিন্তু বাসাটা তাদেরই বজায় থাকে এবার এলো পর্বান্তর রবীন্দ্রনাথ দেখলেন হিন্দুস্তানি সংগীতের সুর মুক্তপুরুষ ভাবে আপনার মহিমা প্রকাশ করে কথাকে শরিক বলে মানতে সে নারাজ বাংলার সুর কথাকে খুঁজে, চিরকুমার ব্রত তার নয় সে যুগল মিলনের পক্ষপাতি বাংলার ক্ষেত্রে রসের স্বাভাবিক টানে সুর ও বাণী পরস্পর আপস করে নেয় যেহেতু সেখানে একের যোগেই অন্যটি সার্থক তাই তিনি বললেন আমার মনে যে সুর জমেছিল সে সুর যখন প্রকাশিত হতে চাইলে তখন কথার সঙ্গে গলাগলি করে সে দেখা দিল ছেলেবেলা থেকে গানের প্রতি আমার নিবিড় ভালোবাসা যখন আমাকে ব্যক্ত করতে গেল তখন অবিমিশ্র সংগীতের রুপ সে রচনা করলে না সংগীতকে কাব্যের সঙ্গে মিলিয়ে দিলেম কোনটা বড়ো কোনটা ছোট, বোঝা গেল না এই তৃতীয় পর্বের চারটি গান রবীন্দ্রনাথের আমাকে ব্যক্ত করার নিদর্শন